বুধবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৬

শিয়া সম্প্রদায়ের ভ্রান্ত আক্বিদাসমূহ ও ইসলাম

শিয়া সম্প্রদায়ের ভ্রান্ত আক্বিদাসমূহ ইসলাম

মহিউদ্দীন ফারুকী
মৌলিকভাবে শিয়া সম্প্রদায় একটি বিভ্রান্ত দলের নাম। এদের মধ্যে অনেক দল-উপদল রয়েছে। এই শিয়া মতবাদ মূলতঃ ইয়াহুদী মতবাদের দ্বিতীয় সংস্করণ। ইসলাম মুসলমানদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করাই তাদের প্রধান কাজ। সাম্প্রতিক সময়ে শিয়া সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে তাদের মত পথ এবং ভ্রান্ত আক্বিদা বিশ্বাস প্রচারে বিশ্বব্যপী বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। তৎপরতা চলছে সকল পর্যায়ে। তাদের বিভিন্নধরনের কালচারালার সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারা সাধারণ মুসলমানের হৃদয়ে একটি শক্ত আসন গেড়ে নিচ্ছে। বিভন্নধরনের শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে যবক তরুণদের মাঝে তাদের মত প্রচার করছে। তাদের বাহ্যিক বেশভূশা দেখে সাধারণ মুসলমান ধোকায় পড়ছে এবং তাদেরকে মুসলমান ভাবতে শুরু করেছে। কখনো কখনো তাজিয়া মিছিল, আশুরা বিবিধ নামে তাদের কুফুরি ভ্রান্ত কার্যক্রমের সাথে একাত্বতা ঘোষণা করছে, কেউবা আবার সরাসরি অংশগ্রহন করছে। বিশ্বাস করছে তাদের সকল আক্বিদায়। মূলত এমনটি হওয়ার প্রধান অন্যতম কারণ হচ্ছে, আমাদের আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সাধারণের নিকট শিয়াদের ভ্রান্ত কুফুরী আক্বিদা বিষয়ে কোন ধারণা নেই। তালিবুল ইলম সাধারণ আলেমদের মাঝে এবিষয়ে কোন আলোচনা চর্চা নেই। এবিষয়ে ওলামা হাযরাতের কলম জবান থেকে জোড়ালো কোন লেখা বা বক্তৃতাও নেই
এমতাবস্থায় এই ফিতনার বিরুদ্ধে ওলামায়ে কেরামকে সোচ্চার হতে হবে। সাধারণ মুসলমানদেরকে তাদের ভ্রান্ত কুফুরী আক্বিদা-বিশ্বাস বিষয়ে সচেতন করতে হবে। তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ব্যাপারে তরুণ যুবসমাজকে সচেতন করতে হবে। বিভিন্ন পরিকল্পনা কার্যক্রমের মাধ্যমে শিয়াদের এইআক্বিদা যুদ্ধরুখে দিতে হবে
তাদের ক্ষেত্রে সচেতনতা সৃষ্টির প্রথম ধাপ হচ্ছে তাদের ভ্রান্ত আক্বিদাসমূহ জানা। তাদের কুফুরী আক্বীদা বিষয়ে সম্যক ধারণা অর্জন করা। সে উদ্দেশ্যেই এই প্রবন্ধে সংক্ষিপ্তাকারে তাদের নিজেদের গ্রন্থ থেকেই তাদের কিছু ভ্রান্ত কুফুরী আক্বিদা তুলে ধরা হলো
. শিয়া সম্প্রদায়ের একটি অন্যতম মূল আক্বিদা এই যে, আল্লাহ তায়ালা জিবরাঈল (.) কে ওহি দিয়ে আলি (রা.) এর নিকট পাঠিয়ে ছিলেন। কিন্তু তিনি ভুল করে মুহাম্মদ (.) এর নিকট তা অবতীর্ণ করেছেন। (আল মুনিয়াহ ওয়াল আমাল ফি শারহিল মিলাল ওয়াননিহাল,পৃ. ৩০)
. শিয়াদের শায়খ কর্তাব্যক্তিরা এই বিশ্বাস রাখে যে, কোরআনে অনেক ত্রুটি রয়েছে। মূলত সঠিক কোরআন যখন ছাহাবাদেও মাঝে ইরতিদাদ দেখা দিয়েছে (তাদের মতে) তখন তা আসামানে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। (আত তানবীহ ওয়ার রাদ্দ পৃ.২৫)
. তাদের ধারণা যে, তাদের ইমামরাই আল্লাহ তায়ালা মানুষের মাঝে মধ্যস্থতাকরী। যেকোন সমস্যার সমাধানে তারা এগিয়ে আসতে পারবে। (বিহারুল আনওয়ার: .২৩ পৃ.৯৯)
. শিয়াদের শায়খদের অভিমত হচ্ছে যে, ইমামদের কবরের দিকে হজ করা কাবায় হজ করার থেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং ছাওয়াবের কাজ। (ছাওয়াবুল আমাল ওয়া ইকাবুল আমাল: পৃ.১২১-১২২)
. শিয়াদের একটি আক্বিদা হচ্ছে, যে ব্যক্তি হুসাইন (রা.) এর কবর যেয়ারত করলো সে যেন আরশে আল্লাহ তায়ালার যেয়ারত করলো। (আলমাযার আল মুফীদ: পৃ.৫১)
. তাদের মতে হুসাইন (রা.) এর কবরের মাটি সকল রোগের জন্য শিফা বা আরোগ্যের মাধ্যম। (আমালী: ৩১৮)
. আল্লাহ তায়ালা এবং তাদের ইমামদের মাঝে কোন পার্থক্য নেই। (মাছাবীহুল আনওয়ার ফি হাল্লি মুশকিলাতিল আখবার: . পৃ.৩৯৭)
. শিয়াদের শায়খ কুলাইনী তার কিতাবে উল্লেখ করেছে যে, ভাগ্য খারাপ ভাল হওয়া এবং জান্নাত জাহান্নামে যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু তারকা নক্ষত্রের প্রভাব রয়েছে। (আর রওজা মিনাল কাফী . পৃ.২১০৩)
. শিয়াদের ধারণা, আলি (রা.) অদৃশ্যের খবর জানেন। তারা বলে, তিনি বলেছেন, ‘আমি জমিনের প্রতিপালক। আমার মাধ্যমেই জমীন স্থীর রয়েছে। দেখুন: মিরআতুল আনওয়ার: ৫৯) তারা এটিও বিশ্বাস করে যে, তিনি দুনিয়া আখেরাতে যেভাবে ইচ্ছা পরিচালনা করতে পারেন। দেখুন: উসুলুল কাফি: . পৃ.৩০৮)
১০. শিয়া শায়খদের অভিমত, আলি (রা.) মৃত ব্যক্তিকে জিবিত করতে সক্ষম। (উসূলুল কাফি: . পৃ.৩৪৭)
১১. আল্লাহ তায়ালা বিভিন্ন সময়ে প্রথম আসমানে নেমে আসেন, এটি আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের একটি মূল আক্বিদা। অথচ শিয়ারা এটি বিশ্বাস করেনা। বরং তাদের মতে যারা এই বিশ্বাস করে তারা সকলেই কাফের। (উসূলুল কাফী- . পৃ.৯০-৯১)
১২. শিয়াদের একটি উপদল ইমামিয়্যাহ, তারা তাদের ইমামদেরকে আল্লাহ তায়ালার গুণে গুণান্নিত মনে করে। এমনকি তারা তাদেরকে আল্লহর নামেও ডাকে। (উসূলুল কাফী-. পৃ.৩১০)
১৩. শিয়াদের দাবি যে কালিমালা ইলাহা ইল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহএর সাথে এটিও বলতে হবে যেওয়া আলিউন ওয়ালিউল্লাহঅর্থাৎ আলি আল্লাহ তায়ালার ওয়ালি। আজানে তারা এই বাক্যটি ব্যবহার করে এমনকি মৃত ব্যক্তিকে এই কালিমা বলে তালকীন করে। (ফুরুউল কাফী-. পৃ.৮২)
১৪. শিয়াদের শায়খদের অভিমত হচ্ছে যে ব্যক্তি আবুবকর, ওমর, উছমান, মুআবিয়া , আয়েশা এবং হাফসা রাদিআল্লাহু আনহুমদের প্রতি ফরজ নামাজের পর অভিসাপ দিবে, তারা আল্লাহ তায়ালার অতি নৈকট্যশিল বান্দা হতে পারবে। (ফরুউল কাফী: . পৃ. ২২৪)
১৫. শিয়াদের শায়খদের ধারনা এবং দাবি যে, তারা সাধারণ শিয়াদের জান্নাতে নিয়ে যেতে পারবে। (রিজালুল কাশি: . পৃ.৪৯০-৪৯১)
১৬. মুতা বিবাহ (সাময়ীক সময়ের জন্য চুক্তিভিত্তিক বিবাহ) যা ইসলামে নিষিদ্ধ বা হারাম সেই নিষিদ্ধ বিষয়টিকে তারা হালাল ঘোষণা করে। তারা বলে একজন ব্যক্তি পরিপূর্ণ মুমিন হতে পারবেনা যতক্ষননা সে অবিভাবক সাক্ষি ব্যতিত মুতা বিবাহ করে। এমনকি তারা বলে, একজন মুমিন নারীর সাথে মুতা করা সত্তরবার কাবা যিয়ারতের থেকেও উত্তম। (মিসবাহুত তাহাজ্জুদ: পৃ.২৫২)
১৭. ইমাম খোমেনী বলে, যেকোন ধরণের যৌন লালসা পুরণ করায় কোন গোনাহ নেই এমনকি তা যদি দুগ্ধজাত শিশুর সাথেও হয়। (তাহরীরুর ওয়াসিলাহ: . পৃ.২২১)
১৮. শিয়াদের একটি বিশ্বাস হচ্ছে, আল্লাহ তায়ালা ফেরেশÍাদেরকে তাদের ইমামদের নূর থেকে সৃষ্টি করেছেন। আর এই ফেরেশÍাদের দায়িত্ব হচ্ছে, তারা হুসাইন (রা.) এর কবরের পাশে কাঁদবে। এধরনের চার হাজার ফেরেশÍ কেয়ামত পর্যন্ত হুসাইন (রা.) এর কবরের পাশে কাঁদতে থাকবে। এছাড়া অন্যান্য সকল ফেরেশÍারা আল্লাহর নিকট অনুমতি চাইবে যেন তাদেরকে হুসাইন (রা.) এর কবর যেয়ারত করার সুযোগ দেয়া হয়। অতএব কিছু ফেরেশÍ যিয়ারত শেষে আকাশে উঠে যাবে আর অন্যরা অবতরণ করবে। (কানযু জামেউল ফাওয়ায়েদ: পৃ.৩৩৪)
১৯. শিয়াদের শায়খ আলবা ইবনে দিরা মর্যাদার দিক থেকে আলি (রা.) কে রাসুল (.) এর চেয়ে বেশী প্রধান্য দেয়। একথাও বলে যে মুহাম্মদকে আলি (রা.) পাঠিয়েছেন। তাদের ধারণা এটিও যে আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মদ (.) কে পাঠিয়েছেন যেন তিনি মানুষকে আলি (রা.) এর দিকে ডাকেন। কিন্তু তা না করে তিনি মানুষকে নিজের দিকে ডাকতে শুরু করেছেন। (বিহারুল আনওয়ার: .২৫ পৃ.৩০৫)
২০. শিয়াদের শায়খরা বলে, তাদের ইমামরা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে ওহী ব্যতীত কথা বলে না। এব্যাপারে সকলকে ঈমান রাখতে হবে। (বিহারুল আনওয়ারা: .১৭ পৃ,১৫৫)
২১. খোমেনী তার ইসলামী হুকুমত কিতাবের মধ্যে লিখেছে যে, আমাদের ইমামদের এমন মর্যাদা রয়েছে যেখানে কোন নিকটস্থ ফেরেশÍ বা কোন প্রেরিত নবীও পৌঁছাতে পারবে না
২২. শিয়াদের একটি আক্বিদা হচ্ছে, মৃত ব্যক্তিকে সর্বপ্রথম আলে বাইতের ভালবাসা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। (বিহারুল আনওয়ার: .২৭ পৃ.৭৯)
২৩. শিয়ারা এই ধারণা পোষণ করে যে, আবুবকর ওমর (রা.) কে প্রতি হজের মৌসমে জামারাতে রাখা হয় যেন পাথর নিক্ষেপের সময় তাদেরকেও পাথর নিক্ষেপ করা হয়
২৪. মাজলিসি তার লিখিত হাক্কুল ইয়াকীন গ্রন্থে বলে যে, আবুবকর ওমর তারা দুজন কাফের। আর যারা তাদেরকে ভালবাসবে তারাও কাফের। (পৃ.৫২২)
২৫. তাদের আক্বিদা যে, উসমান বিন আফফান (রা.) রাসুলের সময়ে প্রকাশ্যে ঈমানদার ছিলেন, তবে ভিতরে ভিতরে তিনি ছিলেন মুনাফিক। (আনওয়ারে নোমানী: . পৃ.৮১) সাথে সাথে তারা বিশ্বাস করে যে, যে ব্যক্তি উসমান (রা.) এর ক্ষেত্রে মনের মধ্যে শত্রুতা না রাখবে এবং তাকে কাফের মনে না করবে সে আল্লাহ তার রাসুলের শত্রু। এবং সে কাফের। (নাফহাতুল উহুত ফী লানিল জিবতি ওয়াততাগুত, কায়েদা নং ৫৭)
২৬. শিয়ারা আয়েশা (রা.) হাফসা (রা.) কে কাফের মনে করে। (তাফসীর কুম্মি পৃ.৫৯৭ সুরায়ে গাফের) তাদের বিশ্বাস, জাহান্নামের সাতটি দরজাই আয়েশা (রা.) এর জন্য। এবং আয়েশা (রা.) ব্যভিচারিনী। (এটি একটি বিরাট অপবাদ) তাদের প্রতিক্ষিত ইমাম মাহদি তাকে জিবিত করবেন এবং তার উপর হদ কায়েম করবেন বা তার বিচার করবেন। (ইলালুশ শারায়ে . পৃ.৫৬৫)
২৭. শিয়াদের ইমাম ওয়ালিদের কবর বা মাজার যেয়ারত করা অন্যান্য ফরজের মত একটি ফরজ। যে ব্যক্তি এটি পরিত্যাগ করবে সে কাফের। (কামেলুয যিয়ারাত পৃ. ১৮৩)
২৮. শিয়াদের প্রধান অন্যতম আক্বিদা হচ্ছে তাকিয়া। অর্থাৎ সত্য গোপন করা এবং নিজের অন্তরের বিশ্বাসটিক প্রকাশ না করা। অন্যভাবে বলা যায় তাকিয়া অর্থ ধোকবাজী মুনাফেকীর একটি সমন্বিত রূপ বা পদ্ধতি। এই তাকিয়া যে বিশ্বাস করবেনা তার ঈমান থাকবে না। অর্থাৎ যে ধোকাবাজী করবেনা সে শিয়া হতে পারবেনা। (উসূলুল কাফী: . পৃ.৫৭৩) এই তাকিয়া বর্জন করা নামাজ বর্জন করার মত অপরাধ
২৯. তাদের বিশ্বাস, কেয়ামতের পুনরুত্থানের পূর্বেই অনেক মানুষ মৃত্যুর পর আবার দুনিয়াতে সেই চেহারা ছুরত বা আকৃতি নিয়ে আবার আসবে। এটি একটি কুফুরি মতবাদ বা হিন্দুয়ানী মতবাদ। (আওয়াএলুল মাকালাত পৃ.৪৬)
৩০. তারা মনে করে প্রতিক্ষিত মাহদি আসার পূর্ব পর্যন্ত তাদের উপর জুমার নামাজ ওয়াজিব নয়। তার যখন আবির্ভাব হবে তখন তিনি তাদের নিয়ে জুমা আদায় করবেন। (মিফতাহুল কারামাহ: . পৃ৬৯)
৩১. শিয়ারা প্রতিক্ষিত মাহদি আসার পূর্ব পর্যন্ত জিহাদকে হারাম মনে করে। তাদের মতে এটি রক্ত, শুকরের গোশÍ মৃতের মত হারাম
৩২. শিয়াদের বিশ্বাস, তাদের ইমাম প্রতিক্ষিত মাহদি (.) এসে আবুবকর ওমর (রা.) কে জিবিত করে শুলিতে চড়াবেন। এবং প্রতিদিন তাদেরকে হাজারবার হত্যা করবেন। (বাসায়েরুদ দারাজাত: পৃ.১৮৭-১৮৮)
৩৩. তাদের বিশ্বাস, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের লোকেরা জাহান্নমী। তারা অপবিত্র, কাফের, তাই তাদে জানাযা নামাজ পড়া জায়েয হবে না। তাদের কোরবানী হালাল হবে না। এবং তারা সকলেই জারজ সন্তান। তাদেরকে হত্যা করা, তাদের সম্পদ চুরি করা, তাদের সাথে মতবিরোধ করা বৈধ। এমনকি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের লোকদের অভিসাপ দেয়া উত্তম ইবাদত। (বিহারুল আনওয়ার: . পৃ ৩৬৮-৩৭০)
৩৪. শিয়ারা বলে, আলি (রা.) এর কবর যিয়ারত করলে প্রতিটি পদে পদে তার জন্য একটি কবুল হজ, একটি মাবরুর ওমরা এবং একশত শহীদের ছাওয়াব লেখা হবে। তার পূর্বের পরের সকল গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। তার হিসাব সহজ করা হবে। ফেরেশÍারা তাকে স্বাগত জানাবে। (তাহজীবুল আহকাম: . পৃ.১৩০৬)
৩৫. শিয়াদের একটি বিশ্বাস যে কেয়ামতের দিন হিসাব আল্লাহ তায়ালার নিকট নয় বরং তাদের ইমামদের নিকট দিতে হবে। (উসূলুল আইম্মাহ: . পৃ.৪৪৬)

সংক্ষিপ্তাকারে উপরোল্লেখিত আক্বিদাগুলোই তাদের কুফুরীর প্রমানের জন্য যথেষ্ট। এছাড়াও শিয়াদের আরও অনেক ভ্রান্ত কুফুরী মতবাদ রয়েছে
সবশেষে বলবো, আমাদের সাধারন মুসলমানদেরকে এবং বিশেষভাবে ওলামায়েকেরামকে বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্ব দিতে হবে। এই ভয়ানক ক্রমবিকাশমান ফিতনাকে অবহেলা করা যাবেনা। কেননা তারা তাদের কাজ মিশন নিরলসভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের মত চিন্তাধারা প্রচার করে যাচ্ছে বিভিন্ন উপায়ে। অতএব তাদের পরিকল্পনার বিপরীতে ছহীহ বিশুদ্ধ আক্বিদা প্রচারে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহন করতে হবে। ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে সকলকে এই ফিতনা থেকে সচেতন করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে হকের সাথে থাকার তাওফীক দান করুন। সিরাতে মুস্তাকীমের উপর অটল অবিচল থাকার হিম্মত কুওওত দান করুন। আমীন

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন